30 C
আবহাওয়া
৩:৪৩ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সোমবার ১৬১ ইউপিতে ভোট, ৪৩টিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান

সোমবার ১৬১ ইউপিতে ভোট, ৪৩টিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান

সোমবার ১৬১ ইউপিতে ভোট, ৪৩টিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান

বিএনএ ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর ) ভোট গ্রহণ করা হবে। এদিন স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ( ইসি )। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

তৃণমূলের এ নির্বাচনে যেমন উৎসব বিরাজ করছে, তেমনি শঙ্কাও রয়েছে। ইসি বলছে, ভোটকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে । ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছে। তারা থাকবেন ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন।

এর আগে শনিবার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। একই সময়ে ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত নয় পৌরসভার ভোটের প্রচারও শেষ হয়।

এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। তবে  স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির কিছু প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। যেসব ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটের মাঠে আছেন, সেসব স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা করছে ইসি। কারণ, ওইসব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজমান। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।

তবে, ভোটের আগেই বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৩টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বাগেরহাটে ৬৬টি ইউপির মধ্যে ৩৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বি দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হন। এই সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি ইসি।

ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ১১ এপ্রিল দেশে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়  পহেলা এপ্রিল তা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ২১ জুন ২০৪টি ইউনিনে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি ইউপি এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে আপাতত ভোট হচ্ছে না। সেই হিসাবে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালী এবং  খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার ১৬১টি ইউপি ও নয়টি পৌরসভায়  সোমবার ভোট হবে। এছাড়া নয়টি পৌরসভার সবকটিতে এবং ১৬১ ইউপির মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৪৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী আছেন এক হাজার ৯৬৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ছয় হাজার ৩৩৩ জন।

এদিকে, নয় পৌরসভার মধ্যে তিনটি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি পৌরসভায় মেয়র পদের লড়াইয়ে রয়েছেন ২৭ জন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ