29 C
আবহাওয়া
৩:৩৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাবেক এমপি বাহার ও মেয়র সূচনাসহ ৪৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাবেক এমপি বাহার ও মেয়র সূচনাসহ ৪৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


বিএনএ, কুমিল্লা : কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় কোটবাড়ি বিশ্বরোড নন্দনপুরে মাসুম মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে। রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ হত্যা মামলা করেন দিশাবন্দ এলাকার বাসিন্দা আবদুল হান্নান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভূইয়া।

নিহত মাসুম মিয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুরে ৪ আগস্ট শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন তিনি। পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয় তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পলাতক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাকে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কুমিল্লার স্থানীয় জনগণসহ ছাত্র-জনতার ওপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। গত ৪ আগস্ট ১ নম্বর আসামি বাহাউদ্দিন বাহারের হুকুমে আসামিরাসহ অজ্ঞাত ৪০০ জন আসামি প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।

২ নম্বর আসামি তাহসীন বাহার সূচনার হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিততভাবে হামলা করলে মাসুম মিয়াসহ (২০) আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে তার কোনো পরিচয় না পাওয়ায় লাশ অজ্ঞাত হিসেবে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. মনির হোসেন সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

মামলার বাদী ও নিহতের আত্মীয়-স্বজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে তার আত্মীয়স্বজন সাক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে মামলা করে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ