বিএনএ ,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম),এনামুল হক নাবিদ:চলতি জুলাই মাসে করোনা ফণা তুলেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। নতুন করে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই মাসেই সর্বোচ্চ সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে উপজেলায়।গত ১৫ দিনে চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪৬ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রকাশিত গত ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৫ দিনে আড়াই’শ ও বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ।প্রথম দশদিন ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জন শনাক্ত হলেও গত ১১ থেকে ১৫ জুলাই শনাক্ত হয় ৯৯ জন । যার মধ্যে ১৩ জুলাই উপজেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড গড়ে। এইদিন শনাক্ত হয় ৩৬জন। এই নিয়ে ৪৫৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত ৭৭৩ জন।আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রয়েছে ৪জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।
প্রথম দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা এক ব্যক্তির দেহে করোনা শনাক্ত হলেও এখন উপজেলা ছেড়ে কোথাও যাননি এমন মানুষেরও করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে কমছে সচেতনতা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যে যার মতো করে চলাফেরা করছেন।উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অভিযান চালালেও তেমন সুফল আসছে না। অভিযান চলাকালে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অভিযান শেষ হলেই তাদের মধ্যে অসতর্কতা দেখা যায়। গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বললেই চলে।একজনকে আরেকজনের সঙ্গে গা ঘেঁষে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। চায়ের দোকানে জমে আড্ডা।
নিজ গ্রাম ছেড়ে বাইরে কোথাও যায়নি এমন মানুষ ও আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে । তারা স্থানীয়ভাবেই আক্রান্ত হচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়লেও সচেতনতার বালাই নেই কারো মধ্যে।
অপরদিকে কোরবানি উপলক্ষে বসা উপজেলার পশুরহাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বলেই চলে । ক্রেতা-বিক্রেতা-ইজারাদার কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশ মানুষের। সবকটি বাজারে উপচে পড়ছে মানুষের ভীড়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে পশুর বাজার বসানোর কথা থাকলেও তার ছিটেফোঁটাও মানতে দেখা যায়নি আনোয়ারায় বসা পশুরহাটগুলোতে।
এতে এই অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
চলতি জুলাই মাসের বাকি দিনগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাট ও বাড়ি ফেরা মানুষের কারণে সংক্রমণ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।সুতরাং সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে চলাচল জরুরি। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনএ /ওজি