19 C
আবহাওয়া
১২:৫০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

বিএনএ, সিলেট: বৃষ্টি ও ঢলের প্রভাব বাড়তে থাকায় সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীজাজার উপজেলায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেট শহরেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে বন্যা কবলিত উপজেলাসমূহে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ২৭৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট নগরীতে খোলা হয়েছে ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ পর্যন্ত সিলেটে ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মোট আশ্রিত লোকের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৭৫।

সিলেট জেলার ১০৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে এবং চারটি ইউনিয়ন আংশিক প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ। বন্যায় আউশ ধানের বীজতলা ১ হাজার ৩০১ হেক্টর এবং বোরো ধানের ১ হাজার ৭০৪ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৪ হেক্টর।

এছাড়া এলজিইডির ২০১.২২৩ কিলোমিটার রাস্তা এবং ২৮ মিটার কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০টি সড়কের ৫৫.৬০ কিলোমিটার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার কারণে নৌকাডুবিতে সিলেট সদর ও জৈন্তাপুর উপজেলায় তিনজন এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার, সিলেটে সুরমা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, আমলসীদে কুশিয়ারা বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার এবং শেওলায় কুশিয়ারা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে প্রকৃতি খুবই বিরূপ আচরণ করছে। একদিকে অবিরাম বর্ষণ আর আরেকদিকে পাহাড়ি ঢল, এই দুইয়ে মিলে সিলেট অঞ্চলকে বিস্বাদে পরিণত করে দিয়েছে। সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেও জানান তিনি।

সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, সিলেটের নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গত দুদিন আগে থেকেই সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন জায়গায় নদ-নদীর পানি পাড় উপচে শহর-গ্রামকে প্লাবিত করে দিয়েছে।

সিলেট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় ২৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮টিতে মানুষ অবস্থান করছে। এছাড়া বন্যার্তদের জন্য এ যাবত ১৪৯ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবারও বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ