বিএনএ,নোয়াখালী:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।এদের মধ্যে সংবাদকর্মী বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির, নুরুল অমিত, ফরহাদ ও কাঞ্চন গুলিবিদ্ধ হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।শুক্রবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বিকাল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের নিয়ে চাপরাশিরহাটে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন। সে সময় পৌর মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মুখোমুখি হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ থেকে ১২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে,সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে নিজের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।তার কোনো নেতাকর্মী মারা গেলে তার দায়দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন এবং প্রশাসনকে নিতে হবে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি