চট্টগ্রাম : পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর খালগুলোকে তার স্বাভাবিক গতিপথে রাখতে হবে। খাল দখলকারীদের আইনের আওতায় এনে এদের কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।
সোমবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, খাল ব্যক্তির নামে রেকর্ড করার কথা না। খাল ব্যক্তির নামে রেকর্ড করেছে, ব্যক্তি বাড়ি বানিয়েছে। এখন এই বাড়ি উচ্ছেদের জন্য সরকার টাকা দেবে। আবার ওই লোককে ক্ষতিপূরণ দেবে। সবটাই জনগণের টাকা যাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্টদের খালগুলোকে এবার সীমানা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে খালের সীমানা চিহ্নিতকরণ একটা খুবই ব্যয়বহুল বিষয়।
উপদেষ্টা আরো বলেন, এখান থেকে অল্প একটু দূরে এই চট্টগ্রাম নগরীর পাশেই পটিয়াতে দেখবেন যে সেখানে ৫ গ্রামে পানিই নাই। খালগুলো আপনারা ব্যক্তি নামে দিয়ে দিচ্ছেন আবার আমরা উচ্ছেদ করে দিচ্ছি, আবার ওদেরকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি। এসকল ক্ষেত্রে কিন্তু ভূমি প্রশাসনকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা উচিত। তিনি বলেন, খালের প্রশস্ততা থেকে রেগুলেটর যেন কোনোভাবেই সরু না হয়; এ বিষয়ে অনুশাসন জারির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; রেলপথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন সভাপতিত্ব করেন এবং আগামী চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে কর্ম প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন নদী বিশেষজ্ঞ ফাইয়েজ আহমেদ তাইয়েব।
বিএনএ,এসজিএন