লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের সময় নিয়মিত পানি পান করলেও শীতে পানি পানের কথা ভুলে যাই। শীতে পানি খেতে যেন আর ভালো লাগে না। চা, কফির মতো পানীয় খাওয়া বেড়ে গেলেও পানি পান কমে যায়। এর ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, বদ হজম, মাথাব্যথার মতো নানা সমস্যা হতে পারে। তাই শীতেও গরমকালের মতো নিয়মমাফিক পানি পান করা প্রয়োজন।
শীতকালে দরকার হলে পানি কুসুম গরম করে পান করুন। কিন্তু পানি পান করা কমিয়ে দেওয়া যাবে না। কিন্তু আবার গরম নাকি ঠান্ডা পানি পান করা ভালো- তা নিয়েই অনেক সময় তর্ক-বিতর্ক দেখা যায়। শীতে অনেকেই দিনের পুরোটা সময় হালকা গরম পানি পান করেন। এটা ঠিক নয়। এতে পেট ও অন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য এক গ্লাসের বেশি গরম পানি নয়। বাকি সময় অল্প অল্প করে স্বাভাবিক পানিই পান করুন।
একজন মানুষের দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত তার নির্দিষ্ট কোনো পরিমাপ নেই। তবে স্বাস্থ্য, দৈনন্দিন কাজের ওপর নির্ভর করে তিনি কতটা পানি দিনে পান করবেন। সাধারণত একজন পুরুষের দৈনিক তিন লিটার বা ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। নারীর দুই লিটার বা আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া গর্ভকালীন অবস্থায় বেশি পানি পান করতে হবে।
এদিকে শরীরে পানির জোগান ঠিক না থাকলে ব্যাহত হয় অনেক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
১. শীতকালে ত্বক শুষ্ক থাকে। তাই এ সময় পানি কম পান করলে শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে র্যাশ, ব্রণের মতো একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. শীতে পানি কম পান করলে মাইগ্রেন বা মাথার যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশিক্ষণ মাথা যন্ত্রণা করলে সঙ্গে সঙ্গে বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
৩. গরমকালের তুলনায় শীতকালে ক্লান্তি অনেকটা কম হয়। যদি শীতে অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে। তাই পানি পান করলেই দেখবেন অনেকটা তরতাজা লাগছে।
৪. শীত বা গ্রীষ্ম, পানি কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবেই। যাদের অর্শ বা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।
৫. শীতের সময় স্বাভাবিকভাবেই কম নড়াচড়া করা হয়। তাই পানি পিপাসাও কম হয়, ফলে পানি পানও কম হয়। পানিশূন্যতা অনেক সময় ক্ষুধার ইঙ্গিত দেয় এবং বেশি খাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেকেরই ওজন কিছুটা বেড়ে যায়।
৬. এই মৌসুমে অনেক বেশি ঠান্ডা-কাশির সমস্যা দেখা দেয়। তবে পর্যাপ্ত পানি পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া ঠান্ডা তাপমাত্রার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত রাখতে দেহ রোগ প্রতিরোধকারী কোষের কার্যকারিতা বাড়ায়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা