বিএনএ, ঢাকা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মহিদুল হাসান (২২) নামে সাদপন্থী এক কর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে মাওলানা জুবায়েরপন্থীর কর্মীরা বলে অভিযোগ করেছেন তার মা মুর্শিদা বানু । বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসানকে আহত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে জুবায়েরপন্থীরা তাকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদপন্থী যুবক মহিদুল হাসানের মা মোর্শেদা বানু এবং ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
মোর্শেদা বানু বলেন, আমার একটা ছেলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। তার জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে। সেখান থেকে সবার সামনে দিয়ে আমার আরেক ছেলেকে ধরে নিয়ে গেল তারা।
এদিকে জুবায়েরপন্থীরা বলছে, ভোরের দিকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যখন সাদপন্থীরা আমাদের জুবায়েরপন্থীদের ওপর হামলা চালায় তখন ঘটনাস্থলে সে উপস্থিত ছিল। এজন্য তাকে ধরে কাকরাইল মসজিদে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, হাসপাতাল থেকে সবাই সামনে দিয়ে মহিদুল হাসান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে গেছে জুবায়েরপন্থীরা। সকালের ঘটনার সময় সে উপস্থিত ছিল এই অভিযোগ দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় জুবায়েরপন্থীরা। কিন্তু আমরা বাধা দিলে আমাদের বাধা তারা মানেনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন শতাধিক।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন। এ সময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালান।একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
বিএনএনিউজ/আজিজুল/এইচ.এম/এইচমুন্নী