বিএনএ, ঢাকা : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, তরুণদের জন্য সকল মন্ত্রণালয়ে এ বছর থেকে ইন্টার্নশিপ চালু হয়েছে। এটি ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’র (সিআরআই) বড় একটি অর্জন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) নসরুল হামিদ বিপু সাভারে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে সপ্তম বারের মতো আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’র চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
এর আগে, ‘ইয়াং বাংলার সফলতার কারণে সকল মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এক হাজারের বেশি তরুণকে নিয়ে ইন্টার্নিশিপ চালু করেছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’র জুরি বোর্ডের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জুরি বোর্ডের সদস্যরা ‘সেরার সেরাদের’ বছাইয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এ বছর ৭০০ টির বেশি সংস্থা আবেদন করে। জুরি বোর্ডের সদস্যরা এসব সংস্থার মধ্য থেকে বাছাই করে, একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। নসরুল হামিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জুরি বোর্ডের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত সাত বছরে ১৪৫ টির ওপরে সংগঠনকে আমরা পুরস্কৃত করেছি। প্রায় ২৭০টি সংস্থা আমাদের সঙ্গে আছে। সিআরআই’র বড় আরেকটি অর্জন হলো, ‘এ বছর আমরা সব মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করেছি’। কারণ, মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে ‘আমাদের প্রতিপাদ্য ছিল, আমার জয় বাংলা কি ? আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করবো। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব জাতির পিতার সোনার বাংলার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। সেই জয় বাংলা আমরা করেছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে, জয় বাংলা’কে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।’
দেশ গঠনে এগিয়ে আসা একদল তরুণের হাতে সপ্তমবারের মত উঠলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। ছয়টি ক্যাটাগরিতে তরুণদের ১২টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবারের আয়োজনে। বিজয়ীদের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরআই’র ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।