30 C
আবহাওয়া
৪:১১ পূর্বাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শীতের শুরুতে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

শীতের শুরুতে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

শীতের শুরুতে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

বিএনএ,সাভার : সন্ধ্যা নামলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় গ্রাম অঞ্চলের মেঠোপথ। হালকা শীত এসে শরীরে শিহরণ তোলে। জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা। আর এই শীতের সন্ধ্যায় উষ্ণতা নিয়ে হাজির হয় ভাঁপা, চিতই, পুলি, চাঁদপুলি, পাক্কন, পাটিসাপটা ও দুধচিতয়ের পিঠা সহ বাহারি সব স্বাদের পিঠা। সঙ্গে মরিচ, ধনিয়া পাতা, শুঁটকি, আর সরিষা ভর্তা। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের রাস্তার মোড়ে, ফুটপাতে কিংবা ভাসমান কোনো দোকানে স্বাদ নিচ্ছেন শীতের পিঠার।

মৌসুম জুড়েই মেলে নানা স্বাদের নানান পিঠা। সকালে চাঁদর মুড়ি দিয়ে কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় পিঠাই হয়ে উঠেছে নাস্তার প্রধান উপলক্ষ। শিক্ষার্থীরাও বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসছে পাশের কোনো পিঠার দোকানে। নানা স্বাদের পিঠার সাথে মিলছে বিভিন্ন স্বাদ ও বর্ণের ভর্তা। শুঁটকি, শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ, সরষে বাটা, রসুন, ধনে পাতা, কালিজিরা, তিলসহ নানান ভর্তার স্বাদ নিতে পারছেন ক্রেতারা।

শীতের পিঠা ও রসনাবিলাসের সুযোগটি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী কিছু নিম্নবিত্ত নারী। ৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে পছন্দমতো পিঠা ও ভর্তার স্বাদ নিতে পারছেন যে কেউ।

পিঠা বিক্রেতা জাহানারা জানান, ভাপা পিঠা তৈরিতে লাগে চালের গুঁড়া, নারকেল ও খেজুরের গুড়। এরপরে গোল আকার পাতিলে কাপড় পেঁচিয়ে ঢাকনা দিয়ে হাঁড়ির ফুটন্ত পানির ভাপ দিয়ে তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা। অপরদিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে চুলায় তাতানো মাটির হাঁড়িতে বানানো হয় চিতই পিঠা। এই পিঠা বিক্রি চলবে পুরো শীত মৌসুমজুড়ে। সাভার বাজারের মোড়ে পিঠার দোকানে কথা হয় সাগর ফরাজীর সঙ্গে।
সাভার বাজারের মোড়ে পিঠার দোকানে কথা হয় সাগর ফরাজী
তিনি বলেন, চাকরির কারণে মায়ের থেকে দূরে থাকেন। চাইলেই মায়ের হাতের সুস্বাদু পিঠা, ভর্তা খেতে পান না। শীতের মৌসুমি পিঠা খেতে ইচ্ছে হলে পিঠার দোকানে চলে আসি। মাঝে মাঝে লম্বা লাইন পড়েগেলেও বিভিন্ন স্বাদের পিঠা আর ১০-১৫ পদের ভর্তার লোভ সামলাতে পারেন না তিনি। আশুলিয়ার ভ্রাম্যমাণ দোকানি কবির হোসেন। কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ীভাবে বসতে পারেন না বলে তিন-চার পদের বেশি পিঠা বানানো সম্ভব হয় না তার। তবে ভর্তা করেন ১৫-২০ পদের। তিনি জানান, সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ তার ক্রেতা।

ধামরাই বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে পিঠা বিক্রেতা হাসিনা বলেন, জার (শীত) আইলে প্রতি বছর পিঠা বেছি (বিক্রি করা)। পিঠা বেইছা সংসার চালাই। তিন রকমের পিঠা বানাই। চিতই পিঠা বেশি চলে।

ধামরাই উপজেলার এক গৃহিণী জানান, সময় স্বল্পতার কারণে শীতের সময় সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন না তিনি। গ্রাম বাংলার ঐত্যিবাহী পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে তিনি নিজেই বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে খাওয়ান ছেলে-মেয়েদের।

বিএনএ/ইমরান খান/এমএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ