28 C
আবহাওয়া
৫:২৯ অপরাহ্ণ - ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » এস আলমের সহযোগী বিএনপির সেই লেয়াকতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এস আলমের সহযোগী বিএনপির সেই লেয়াকতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দানব এস আলমের সহযোগী বিএনপির সেই লেয়াকতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি নেতা ও গণ্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলী ও তার স্ত্রী জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মঙ্গলবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, লেয়াকতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় দুদক গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নির্দেশ দেন। পরের বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সম্পদ বিবরণী জমা দেন দুদকে। পরে দুদক যাচাই-বাছাই করে জেসমিন আক্তারের নামে ২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার অবৈধ সম্পদ পান। এর মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে নগদ অর্থ, ১৬টি দলিল মূলে জায়গা ক্রয় ও ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূলের একটি গাড়ি। স্বামী লেয়াকত জনপ্রতিনিধি থাকাকালে অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েছেন।

জানা যায়, লেয়াকত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এসএস পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়, ভূমি ও জলদস্যুতাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, উপকূলীয় জলদস্যু বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে লেয়াকতকে গত বছরের ৭ মার্চ চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দানব এস আলমের সহযোগী হয়ে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান বিএনপির লিয়াকত

সূত্র বলছে ২০১৬ সালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের এসএস পাওয়ার প্লান্ট নামে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করে এস আলম গ্রুপ। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতে লেয়াকত বিরোধিতা করে অনুসারীদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল লেয়াকতের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে এতে প্রাণ হারান চারজন। পরবর্তী সময়ে লেয়াকতের সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয় এস আলম। সেই থেকে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ভূমি ক্রয়-বিক্রয়, প্রকল্পে শ্রমিকসহ নানা মালামাল সরবরাহ এবং স্ক্র্যাপ ব্যবসার সবই ছিল লেয়াকতের নেতৃত্বে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ২১টিরও বেশি মামলা রয়েছে। তবে, তাকে গ্রেফতার করতে ভয় পেতেন পুলিশ কর্মকর্তারা। লেয়াকতের বাসার আশপাশে সবসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেয় তার নিজস্ব বাহিনী।

দুদকের মামলার এজেহারে বলা হয়েছে, লেয়াকত আলীর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২ টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন এবং ২,৮৫,১৩,৬৬২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদ লেয়াকত আলী কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব কালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী আসামী জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য ঘোষণা দেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ১৬টি দলিল মূলে ২,৬৫,৫৫,৮৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (২,৬৫,৫৫,৮৭৯-২,৩৯,৭৫,০০০) = ২৫,৮০,৮৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে কোন অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেননি। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে তার নামে (১) একটি প্রাইভেট কার যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৩৬২ মূল্য- ১১,৮০,০০০ টাকা, (২) বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম হতে গত ২৯.০৬.২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রেশন নং-২০২০০৩০৪২৫৯ মূলে মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় ক্রয়- ৫,০০,০০০টাকা, (৩) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রামের হিসাব নং-৩২০৮-০৩১১০৭০০২৯ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ১,৩৯,৯৪৬ টাকা, (৪) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পাচঁলাইশ শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং- ০২৩৬১২২০০০০১৫৫৬ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ১,০৪,৬১৫ টাকা, (৫) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পাচঁলাইশ শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং-০২৩৬১১৮০০০০০০০৩ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ৩৭,২৯৩ টাকা, (৬) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং-০১৮৭১৪১০০০০০২৫৮ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ৫১,৮৩,০৮৮ টাকা, (৭) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং- ০১৮৭১২২০০০০৯০০৩ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ৪৪১ টাকা ও (৮) ব্যবসায় বিনিয়োগ, ২০২৩-২৪ কর বৎসরের আয়কর রিটার্ন মোতাবেক- ৯,০০,০০০ টাকাসহ মোট(১১,৮০,০০০+৫,০০,০০০+ ১,৩৯, ৯৪৬+১, ০৪, ৬১৫+ ৩৭,২৯৩+৫১,৮৩,০৮৮+৪৪১+৯,০০,০০০) =৮০,৪৫,৩৮৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮০,৪৫, ৩৮৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮০,৪৫,৩৮৩ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট (২৫, ৮০, ৮৭৯+ ৮০, ৪৫, ৩৮৩) = ১,০৬,২৬,২৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্যঅপরাধ করেছেন। অন্যদিকে পর্যালোচনায় দেখা যায় জেসমিন আকতার ( ১) ব্যবসা হতে আয় ৬৬,৭৯,৩৩৩ টাকা (২) কৃষি হতে আয় ৩৩,৯৭,১৯৭টাকা, (৩) ব্যাংক সুদ ৬,৪৪, ৩৩১ টাকা ও (৪) অন্যান্য হতে আয় ১৬,৭৩৯ টাকাসহ তার নামে মোট (৬৬,৭৯, ৩৩৩+৩৩,৯৭, ১৯৭+৬, ৪৪, ৩৩১+১৬, ৭৩৯) = ১,০৭,৩৭,৬০০ টাকা আয় করেছেন। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত আয় গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। একই সময়ে তিনি পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ বাবদ মোট ৪৬,৫০,০০০ টাকা ব্যয় করেছেন মর্মে তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন। অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত ব্যয় গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর দায়ের কলামে তিনি কোন দায়ের তথ্য প্রদান করেননি। এছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে ঋণ সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র দাখিল বা উপস্থাপন করেননি। বিধায় তার নামে কোন দায় নেই মর্মে প্রতীয়মান হয় । যাচাই অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আসামী জেসমিন আকতার এর নামে ৩,৪৬,০১,২৬২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৪৬,৫০,০০০ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ (৩,৪৬, ০১, ২৬২+৪৬,৫০,০০০) = ৩,৯২,৫১,২৬২টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১,০৭,৩৭,৬০০ টাকার। এক্ষেত্রে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া যায় (৩,৯২,৫১,২৬২- ১,০৭,৩৭,৬০০) = ২,৮৫,১৩,৬৬২ টাকার। অর্থাৎ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাছাড়া আসামী জেসমিন আকতার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন এবং কোন অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেননি মর্মে ঘোষণা দেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩,৪৬,০১,২৬২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (৩,৪৬, ০১, ২৬২-২, ৩৯,৭৫,০০০) = ১,০৬,২৬,২৬২টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ আসামী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সে সময় সংবাদ মাধ্যমকে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী বাহাদুর আলম হিরণ জানান, জমি অধিগ্রহণে আমরা কাউকে জবরদস্তি করিনি। বরং বাজারমূল্যের চেয়েও দ্বিগুণ বেশি দাম দিয়েছি। লিয়াকত আলীও মূল্য পরিশোধে সহযোগী হিসেবে ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ব্যক্তিগত কোন্দলের কারণে বিরোধিতায় নেমেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলমের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ। ইউপি নির্বাচন নিয়ে এ বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। বাহাদুর আলম হিরণ জানান, এস. আলম গ্রুপ ও চায়না সেফকো ইলেক্ট্রিক প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালি উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের গন্ডমারা উপকুলীয় এলাকায় ১৩২০ মোগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের ৭০ ভাগের মালিকানা এস. আলম গ্রুপ। বাকি ৩০ ভাগ মালিকানা চায়না সেফকোর।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লেয়াকত আলী বলেন, আমি কারাগারে থাকাকালে আমার স্ত্রী সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আসামী জেসমিন আকতার তার স্বামী আসামী মোহাম্মদ লেয়াকত আলী কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব কালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ