ভারতের কলকতায় খুনের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার বিচারের দাবিতে গত ১৫ জুলাই এক সমাবেশে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর অনুসারিদের পঙ্গপাল বলে অবহিত করেছেন কালীগঞ্জের মেয়র আশরাফুল আলম। এরপরই এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৬ মে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। পোস্টের সঙ্গে একটি অস্ত্রের ছবিও দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডরিন লিখেছেন- ইমোতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মেয়র আশরাফুল আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে, সেই সঙ্গে আমাকেও।
মেসেজে উল্লেখ করেছে, ‘কিরে আশরাফুল ভালো হলি না? আনারের মতো কি ডরিনের লাশটাও কিমা কিমা করতে চাস? তুইও ভালো হয়ে যা, আর ডরিনকেও ভালো হয়ে যেতে ক, না হইলে দুজনের লাশ কিমা কিমা করে ফেলামু, বাদ যাবে না কিন্তু।’ সঙ্গে অস্ত্রের ছবিও দিয়েছে।
ডরিন লিখেছেন- ‘এমন বার্তা দিয়ে কি বোঝাতে চাচ্ছে তারা? আমার বাবার বিচার, জড়িতদের ফাঁসি চাই। কোনো আসামি যেন বাংলার মাটি থেকে জামিনে বের না হতে পারে সেটিই মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সেই সঙ্গে আইন ও বিচার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ ডিবির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা এ হত্যার হুমকি দিয়েছে অবিলম্বে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। কে বা কার অনুসারী এ হুমকি দিয়েছে আমি তাদের বিচার ও শাস্তি থেকে একপাও পিছু হটবো না।’
এমপি কন্যা আরও উল্লেখ করেছেন, জেলা ও উপজেলাসহ যেখানে গোটা বিশ্বের মানুষ তিন তিনবার নির্বাচিত এমপি হত্যার ঘটনা শুনেছে, আসামিরা জেলহাজতে রয়েছে, দুই দেশে তদন্ত চলছে, আমিসহ পরিবার ডিএনএ টেস্ট করতে কলকাতাতে যাব সেইসময় ইমোর মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আমাদের কি বোঝাতে চায় তারা? আমার মোটেও ভয় বা হারানোর কিছু নেই। সাহস থাকলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দিন। তবে দেশের সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকই খুঁজে পাবে আপনি কার বা কোন নেতার অনুসারী। এ ঘটনার পর আমি মোবাইলে মেসেজ বা বার্তা দিয়েছি সবাইকে। ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদকেও জানিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সবার কাছে দ্রুত বাবার বিচার ও আমাদের যারা হুমকি দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, গত ১৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে পাপ্পু নামের এক ব্যক্তি এমপি আনারের মরদেহের ছবি তার মোবাইলের ইমোতে পাঠায়। এরপর ১৫ জুলাই রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে তাকে ও ডরিনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে থানায় একটা জিডি করেছেন।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী