বিএনএ ডেস্ক : গত ২৯ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে ঝিনাইদহ–১ আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন শৈলকূপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান। এই সময় তার সাথে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। তিনি পুলিশের পোষাক পড়া অবস্থায় ছিলেন।
পুলিশের সাবেক আইজি নুরুল হুদা মন্তব্য করেন, বাহিনীর পোশাক পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
খুলনা-বরিশাল বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ওই সময় বলেছিলেন ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি, অসুবিধা কোথায়? আমি তো আর ইলেকশন করতে যাইনি।’ এই বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সারাদেশে হৈচৈ পড়ে যায়। নজরে আসে নির্বাচন কমিশনের।
সরকারি চাকরিবিধি অমান্য করে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।
এ সংক্রান্ত চিঠি ১৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরে ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের উল্লিখিত কার্যক্রম সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ গৃহীত ব্যবস্থা ইসিকে অবহিত করার জন্যও চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ–১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে এই আসন থেকে ২৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ হাসনা