22 C
আবহাওয়া
৩:১৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হিজাব না পরায় তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা

হিজাব না পরায় তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা

হিজাব না পরায় তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা

বিএনএ ডেস্ক : হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ বছর বয়সী নারী মাহশা আমিনি। এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে।

বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় হিজাব ও বোরকা পরেননি তরুণী। সে অপরাধে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে মাশা আমিনিকে (২০) থানা হেফাজতে নিয়ে যায় ইরানের মর‌্যালিটি পুলিশ। এর দু’ঘণ্টা পর গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মাশাকে। হাসপাতালে চিকিৎসক জানান, গুরুতর শারীরিক নির্যাতনের জেরেই মৃত্যু হয়েছে মাশার।

ইরান ওয়্যারের খবরে বলা হয় ,  মাশার ভাই কিয়ারেশ বলেন, ‘আমি থানায় গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের আমার বোনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মিনতি জানাচ্ছিলাম। তারা আমাকে জানান, মাশাকে হিজাব না পরার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারা আমাকে থানার বাইরে অপেক্ষাও করতে বলেছিলেন। সেইমতো আমি থানার বাইরে অপেক্ষা করছিলাম, কিছুক্ষণ পরই একটি অ্যাম্বুলেন্সকে থানার সামনে এসে থামতে দেখলাম। তারপর দেখলাম থানার ভেতর থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য কাউকে পাঁজাকোলা করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, যাকে এইমাত্র অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলো, সে আমার বোন মাশা। থানার কমর্ককর্তারা বললেন, হেফাজতে থাকার সময় তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা (হার্ট অ্যাটাক) হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই ঘণ্টা পার হয়েছে’

ইরানের মর‌্যালিটি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন উল্লেখ করে ইরান ওয়্যারকে কিয়ারেশ বলেন, ‘আমার আর এখন হারানোর কিছু নেই। তাদের (মর‌্যালিটি পুলিশ) কাউকে ছাড়বো না আমি।’

এদিকে, শুক্রবার মাশা আমিনির মৃত্যুর পর একটি বিবৃতি দিয়েছে তেহরান পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে, ইরানে নারীদের পোশাকবিধি সম্পর্কে ‘ব্যাখ্যা ও নির্দেশনা’ দিতে মাশাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু থানা হেফাজতে আসার পর আকস্মিকভাবে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের উদ্যোগে তাকে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’

মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ শুরু হয়। এরপর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই ঘটনাটি যথাযথভাবে তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

Loading


শিরোনাম বিএনএ