32 C
আবহাওয়া
৯:৫৪ অপরাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের ১১ সদস্য গ্রেফতার

বিএনএ, চট্টগ্রাম : আন্তঃ জেলা বাস ডাকাতি, ছিনতাই, সিএনজি অটো রিকশা চুরি এবং প্রবাসীদের টার্গেট করে সর্বস্ব লুটকারী চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত র‌্যাব চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় দুষ্কৃতিকারীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে আগ্রাবাদ থেকে প্রাইভেটকারে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

রোববার (১৬ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এসব তথ্য জানায়।

গ্রেফতাররা হলেন, ১। মোঃ ইমরান হাসান (২৭), পিতা- মৃত শফিকুল ইসলাম, ২। মোঃ রুবেল (৩১), পিতা-মেহের আলী, ৩। মোঃ শফি @ মোঃ মিজানুর রহমান @ মিজান হাজারী @ মিজাইন্না চোরা (২৯), পিতা- মোঃ ফয়েজ @ মোঃ হোসেন @ হোসাইন্না চোরা @ কালা চোরা, ৪। জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ (২৮), পিতা-ইসমত আলী, ৫। মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৪), পিতা- মোঃ আব্দুল মান্নান, ৬। ইয়াছিন আরাফাত মিনার (২৫), পিতা-দেলোয়ার হোসেন, ৭। মোঃ জমির (৪৫), পিতা-মোঃ মিন্টু, ৮। মোঃ সৈকত (২২), পিতা-মোঃ রাশেদ, ৯। হাবিবুল কিবরিয়া @ আরমান (২২), পিতা-মোঃ সিরাজ, ১০। কিল্টন দে (২৯), পিতা-বিনয় দে এবং ১১। মোঃ কায়সার হামিদ (৩৪), পিতা-মোঃ আব্দুল মোমেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, ওই ছিনতাই চক্রে ১০-১২ জনের একটি সদস্য থাকে। তাদের মধ্যে ৩/৪ জন বিমানবন্দরের ভিতরে অবস্থান করে এবং বাকী সদস্যরা বাইরে অপেক্ষায় থাকে। বিমানবন্দরের ভিতরে থাকা সদস্যরা বিদেশ হতে আগত নিরীহ প্রবাসীদের টার্গেট করে। উক্ত প্রবাসীরা যখন বিমানবন্দর থেকে গাড়িযোগে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেয় তখন বিমানবন্দরের ভিতরে থাকা সদস্যরা টার্গেট করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী বাইরে অপেক্ষারত ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পথের মধ্যে নিরীহ প্রবাসীদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লাগেজসহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এছাড়া তারা প্রবাসী ব্যক্তিদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফেরত দেয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তারা এ ধরনের ছিনতাই ছাড়াও চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকদের সিএনজিসহ টার্গেট করত। তাদের এক গ্রুপ সিএনজি টার্গেট করত এবং অন্য গ্রুপ যাত্রী সেজে সেই সিএনজিতে উঠত। মাঝপথে নির্জন স্থানে তারা একত্রিত হয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে অনেক সময় হাত পা বেধে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে সিএনজি ছিনতাই করে চলে যেন। পরবর্তীতে উক্ত সিএনজিগুলো তাদের নির্দিষ্ট গোপন একটি স্থানে নিয়ে নাম্বার প্লেট, চেসিস নাম্বার ও সিএনজির রং পরিবর্তন করত।

এরপর ২/৩টি সিএনজি একত্রিত করে কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বাহিরে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং বগুড়ায় তাদের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাচার করে দিত। এভাবে তারা চোরাইকৃত সিএনজি ক্রেতাদের চাহিদা মতো সিএনজি ছিনতাই করে স্বল্পমূলে বিক্রি করত। সিএনজির চাহিদা যখন না থাকত তখন তারা পুনরায় বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান করে প্রবাসীদের লাগেজ ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকত বলে র‌্যাব জানায়।

উল্লেখ্য, উক্ত চক্রের দলনেতা হিসেবে গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী ইমরান কাজ করত। তার কাছে ছিনতাইকৃত সিএনজির বিভিন্ন আলামত পাওয়া যায়।

এছাড়া উক্ত ডাকাত দল রমজান মাস এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসসমূহের সাধারণ যাত্রী এবং ড্রাইভারদেরকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ ছিনতাই/ডাকাতি করে থাকে বলে নিজ মুখে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতার আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে র‌্যাব জানায়।

বিএনএনিউজ/বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ