20 C
আবহাওয়া
১০:৪৬ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি

চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি

চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি

বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি। এতে এ প্রতিষ্ঠানের পানি উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি লিটারে। যা বর্তমানে চাহিদার সমান। আজ বুধবার ( ১৬ মার্চ ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনগার প্রকল্প-২’।  এ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলো চট্টগ্রাম ওয়াসা।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় ২০১৬ সালে শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এর কাজ শুরু হয়। ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দেয় ২৮০০ কোটি ৯২ লাখ, বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৬৬৫ কোটি ১৬ লাখ এবং ওয়াসা দেয় ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পানি পেতে যাচ্ছে নগরীর ৬০ লাখ মানুষ। ৬০ বর্গমাইলের চট্টগ্রাম নগরীতে দৈনিক প্রায় ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা।  ১৯৮৭ সালে দৈনিক ৯ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পটি চালু হয়। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ কর্ণফুলী নদীর পানি পরিশোধন করে রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় চালু করা হয় ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১’ প্রকল্প। এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার।

হালদার পানি পরিশোধন করে মদুনাঘাটে চালু করা হয় ৯ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার ‘শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্প’। এটি চালু হয় ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি। আজ বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ প্রকল্পটি। এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার।

ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধন করে ওয়াসা দৈনিক উৎপাদন করছে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি। এর সাথে ৩৪টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে উৎপাদন হওয়া ৩ কোটি ৪০ লাখ লিটার পানির মাধ্যমে ওয়াসার দৈনিক উৎপাদন এখন ৫০ কোটি লিটার। কর্ণফুলী নদীর ওপারে চলমান রয়েছে ভান্ডালজুরি পানি সরবরাহ প্রকল্প। চলতি বছরের শেষে চালু হওয়ার কথা রয়েছে দিনে ৬ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার এ প্রকল্প।

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জানান, প্রকল্পে ‘ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াও ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার কনভেন্স পাইপ লাইন, ৩১৭ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন, ৭০০ কিলোমিটার ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ লাইন, দুটি সার্জ ট্যাঙ্ক, ৫৯টি ডিএমএ নির্মাণ, ২ কোটি ৪৮ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতার জলাধার নির্মাণ এবং ৩০ লাখ লিটার ধারণক্ষমতার একটি সুউচ্চ জলাধার নির্মাণকাজ রয়েছে।’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে আর পানির সমস্যা থাকবে না। তবে ২০৩০ সালের পর যেন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য এখন থেকেই নতুন প্রকল্প নিতে হবে।

বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম

Bnanews24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

Loading


শিরোনাম বিএনএ