23 C
আবহাওয়া
১:৪৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আর নেই

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আর নেই

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আর নেই

বিএনএ, ঢাকা: সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপ প্রধানমন্ত্রী এবং  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না….রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মওদুদ আহমেদ এর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী মমিনুর রহমান সুজন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে ২৯ ডিসেম্বর তাকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে এলিজাবেথে চিকিৎসা নেন। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী হাসনা জসিমউদদীন ছিলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্ম  গ্রহণ করেন। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক সাংসদ ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।

মওদুদ আহমেদ পল্লী কবি জসিমউদদীন এর জামাতা।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে বৃটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশুনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে  আইন পেশায় যুক্ত হন।

লন্ডনে পড়াশুনাকালে মওদুদ আহমেদ চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার লন্ডন সংবাদদাতা হিসেবেও কাজ করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন।

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন] এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। পরে তিনি এরশাদের সরকারে যোগ দেন  এবং  ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন।

৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে  রাষ্ট্রপতি এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে মওদুদ আহমদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে পদত্যাগ করেন । জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ