24 C
আবহাওয়া
১১:২১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুতে দুর্ভোগ

জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুতে দুর্ভোগ


বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর উপর একটি কাভার্ডভ্যান আটকে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সেতু পারাপারকারী হাজারো মানুষকে। প্রায় শত বছরের পুরোনো  একমুখী জরাজীর্ণ এই সেতুতে প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগর থেকে বোয়ালখালী উপজেলার দিকে ছেড়ে যাওয়া একটি কাভার্ডভ্যান সেতুর মাঝ বরাবর এসে হাইড ক্যারিয়ারের সাথে আটকে যায়। এতে সেতুর উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। এ সময় সেতুর পশ্চিমপাড়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা দোহাজারীমুখী যাত্রীবাহী ডেমু ট্রেনও আটকা পড়ে। যাত্রীদের পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার করতে দেখা গেছে।

গার্মেন্টস শ্রমিক আনোয়ারা আক্তার বলেন, একের পর এক দুর্ঘটনা লেগেই আছে কালুরঘাট সেতুতে। প্রতিদিনই এমন দুর্ভোগে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। কাজ শেষে গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে দেখি সেতুর উপর একটি কাভার্ডভ্যান বিকল হয়ে আছে। অচল হয়ে পড়ে সব ধরনের যানচলাচল। এসময় সেতুর উভয় পাশে শত শত গাড়ির জট লেগে যায়। মানুষের ভীড়ের কারণে সেতুতে হাঁটার জায়গাও নেই। কষ্টের শেষ নেই।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রবিউল হোসেন বলেন, বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের একাংশের বন্দর নগরীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে। কালুরঘাট রেল সেতুর পাশে আরো একটি সেতুর নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সে দাবি কবে আদায় হবে তা কেউ জানে না। এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ পর সেতুর কয়েকজন কর্মচারী ও পথচারী মিলে কাভার্ডভ্যানটির চাকার হাওয়া ছেড়ে ঠেলে সেতুর পূর্ব পাড়ে সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় যানবাহন পারাপারের সুযোগ হলেও দীর্ঘ যানজট স্বাভাবিক হতে আরো বেশ কয়েকঘণ্টা সময় লেগে যায়।

কালুরঘাট সেতুর টোল অফিসের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাভার্ডভ্যানটি সরিয়ে অল্প কিছু সময় পর সেতুটি স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। তবে উৎসুখ জনতার ভীড়ের কারণে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে।

বিএনএ/ বাবর, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ