বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণের পর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মিলন ব্যানার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শুনানিতে মেয়র ও সাবেক সচিবের পক্ষে বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন আইনজীবী অংশ নেন।
পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৫ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
২০১৭ সালের ২৩ মার্চ ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেয়র হাবিবুর রহমান অবৈধভাবে ১৭ জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। এর মাধ্যমে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অপর মামলায় অভিযোগ বলা হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডে দুই কোটি টাকা জমা করে। ওই টাকা থেকে আবাহনী ক্লাব ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান ও তৎকালীন সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম ভবন নির্মাণ না করে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এদিকে, মেয়রকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তাঁর সমর্থকেরা
বিএনএ/ এ আর