বিএনএ: রাজধানীর গুলশানে গোলাগুলির ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাকি চার আসামি হলেন আরিফ হোসেন, মনির আহমেদ, শরিফুল ও হুমায়ুন। এর মধ্যে ঘটনার দিন মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু, আরিফ হোসেন ও মনির আহমেদ গ্রেফতার হন। আর শরিফুল ও হুমায়ুন ঘটনার পর থেকে পলাতক।
ডিসি মো. আ. আহাদ জানান, গুলিবিদ্ধ পথচারী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হবে। বাকি দুজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে গ্লোরিয়া জিন্স রেস্টুরেন্টের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার কারণ বর্ণনা দিয়ে ডিসি আহাদ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে আরিফ নামের এক যুবক গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের হাবিবের বিকাশের দোকানে যান। সেখানে গিয়ে আরিফ বেশ কয়েকটি নম্বরে মোট ৭৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আরিফের কথা অনুযায়ী, হাবিব নির্দিষ্ট নম্বরগুলোতে ৭৫ হাজার টাকা পাঠান। টাকা পাঠানোর পর আরিফের কাছে সেই টাকা চাওয়া হলে তিনি টাকা না দিয়ে হাবিবের সঙ্গে টালবাহানা শুরু করেন।
আহাদ জানান, আরিফ টাকা না দেয়ায় আশপাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে হাবিব তাকে আটক করে। আটক অবস্থায় সে তার সহযোগীদের বিষয়টি জানান। এরপর আরিফের ফোন পেয়ে তার পাঁচ সহযোগী টিপু, হুমায়ুন, অহিদুল ইসলাম মিন্টু ও শরিফ ঘটনাস্থলে আসেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে আসার পর বিভিন্নভাবে আরিফকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তার সহযোগীরা। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করায় তাকে ছাড়তে চাননি হাবিব। এতে ঘটনাস্থলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অহিদুল ইসলাম মিন্টু ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পথচারী আমিনুল গুলিবিদ্ধ হন।
বিএনএনিউজ/এ আর