27 C
আবহাওয়া
৬:৩০ পূর্বাহ্ণ - অক্টোবর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানির (রহ.)

বিএনএ, ঢাকা : আজ (১১ রবিউস সানি,১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার) পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানির (রহ.) ওফাত দিবসটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। তিনি ৫৬১ হিজরির ১১ রবিউস সানিতে ইন্তেকাল করেন।

হজরত আবদুল কাদের জিলানি(রহ.) ইসলামের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব এবং সুফিদের মধ্যে তিনি ‘বড়পীর’ নামে পরিচিত। তাঁর জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে আজও জীবন্ত।

তিনি ৪৭০ হিজরিতে ইরাকের জিলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, সায়্যেদ আবু সালেহ মুসা (রহ.), একজন বিখ্যাত বুজুর্গ ছিলেন এবং মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহ.) ছিলেন একজন বিদূষী নারী। পিতা ইমাম হাসান ইবনে আলীর বংশধর এবং মাতা ইমাম হোসাইন ইবনে আলীর বংশধর।

বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানির (রহ.) মাজার ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত। এটি জিলান নগরীর একটি বিখ্যাত স্থান এবং মুসলমানদের জন্য আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে তার মাজারে বহু মানুষ জিয়ারত করতে যান।

হজরত আবদুল কাদের জিলানির (রহ.) পিতা, সায়্যেদ আবু সালেহ মুসা (রহ.) এবং মাতা, উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহ.)-এর মাজারও বাগদাদে অবস্থিত। তাদের মাজারটি হজরত আবদুল কাদের জিলানির (রহ.) মাজারের কাছেই অবস্থিত, যা এই আধ্যাত্মিক স্থানটির আরও গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। এই জায়গা মুসলমানদের জন্য বিশেষ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে।

অল্প বয়সেই পুরো কুরআন মুখস্থ করে ফেলেন আবদুল কাদের জিলানি(রহ.)। পিতার মৃত্যুর পর ১৮ বছর বয়সে বাগদাদের মাদরাসায়ে নিজামিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি ডাকাতদের কবলে পড়েও সত্য উচ্চারণের মাধ্যমে সত্যবাদিতার নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা-দীক্ষার পর ইসলাম প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করেন এবং বিভিন্ন মাহফিলে যুক্তিপূর্ণ ভাষায় ইসলামের আদর্শ বর্ণনা করেন, যা অমুসলিমদেরও আকৃষ্ট করত।

ছোটবেলায় সুফিবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পরে বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমি (রহ.)-এর কাছে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন। ৯১ বছর বয়সে ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন এবং তার রচিত বহু গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ফুতুহ আল গাইব’, ‘গুনিয়াতুত তালেবীন’, ‘আল-ফুয়দাত আল-রব্বানিয়া’, এবং ‘আল-কাসিদা’।

এ উপলক্ষে আজ (১১ রবিউস সানি,১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুগদা বায়তুল ওয়াদুদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাদিকুর রহমান আল আজহারী।

বিএনএ, এসজিএন/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ