কী হয়েছে, কী হবে, কী হতে যাচ্ছে, আমাদের এই বাংলাদেশে, এসব নিয়ে শতভাগ বিশ্বাস করার মত সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ। এইসব গুজবে কান দিয়ে অপর একটি শ্রেণীর মানুষ পথে ঘাটে , চায়ের দোকানে অল্প শিক্ষিত, বেকার, রাজনীতির মারপ্যাচ বুঝতে যাদের সময় লাগে তারা পরিবারে, সমাজে, কর্মস্থলে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছে। এতে তাদের কী লাভ বা লোকসান হচ্ছে তাও বুঝতে না পারলেও দেশের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বেশ কিছুদিন ধরে বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধের ঘটনা ঘটছে।
বেশ কয়েকজন কারখানামালিক মিডিয়াকে জানান, টানা ১০/১২ দিন বন্ধ থাকার পরে কাজ শুরু হয় আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায়। শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেয়ার পরেও কারখানায় আন্দোলন অব্যাহত ছিল। অনেক কারখানায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এর পেছনে প্রকৃত রহস্য কী?
পোশাক শ্রমিকদের একাধিক সূত্র জানায়, বেশির ভাগ পোশাক কারখানা শ্রমিক মোবাইলে ফেসবুক, ইউটিউব দেখে দেখে শিল্প এলাকায় নানা গুজব ছড়াচ্ছে।
তাছাড়া সরকার ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েও কিন্ত কম গুজব নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়? তার সঙ্গে কাজ করছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো। সত্যমিথ্যা একসাথে করে বাংলাদেশিদের মাথা নষ্ট করা হচ্ছে। যা ভাবেনি মানুষ তা দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না। কে বন্ধ করবে এসব ?
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের নির্দেশে গুজব বন্ধে আইসিটি বিভাগ অপপ্রচার ও গুজব সংক্রান্ত পোস্ট সোম্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর জন্য উদ্যেগ নিতে পারে।
মনিরুল ইসলাম,গাজিপুর, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক/প্রকাশক বা বার্তাবিভাগ দায়ি নয়। তা লেখকের নিজস্ব।