বিএনএ, ঢাকা: সামনের দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কীভাবে আরও সুদৃঢ় হবে সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও বন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী তিন, চার, পাঁচ বছরে দীর্ঘ মেয়াদে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমরা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক আছে, এডিবি আছে, আগামী দিনে তারা কীভাবে অর্থায়ন করবে জলবায়ুতে, সেটা একটা বড় বিষয়। কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে৷ আমরা জলবায়ু বিষয় নিয়ে কীভাবে কাজ করছি সে সংক্রান্ত কাজের তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। আগামী দিনে গ্রিন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা চেয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো অভিন্ন। আবার কিছু বিষয়ে তাদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আবার বৈঠক হবে এবং তখন সবকিছু সুনির্দিষ্ট হবে। কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছেন ভবিষ্যতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা-ই বিনিয়োগ হোক, তা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার একই জায়গায়। সেটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করা হবে, কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনএ নিউজ/রেহানা/ এইচ.এম/হাসনা