বিএনএ,ঢাকা:ঢাকায় ক্যাসিনো কারবারের মূলহোতাদের একজন মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাট। ২২২ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন তিনি।
সোমবার(১৫ জানুয়ারী) তাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম।উক্ত মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন তিনি।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা স্থায়ী জামিন ও অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন দাখিল করেন।শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
গত বছরের ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।
উক্ত আদেশে উল্লেখ ছিল, সম্রাটকে তার জামিনের বন্ড জমা দেওয়ার সময় তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। জামিনের আদেশে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন সম্রাট। এরপর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করে দুদক।সিআইডি তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে।
র্যা বের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়। বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সন্ধান পাওয়ার পর সম্রাট আলোচনায় আসেন।গ্রেফতারের পর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনএনিউজ/রেহানা,ওজি