36 C
আবহাওয়া
৭:০০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

বাজার

বিএনএ,চট্টগ্রাম: পবিত্র রমজান মাস শুরুতে নিত্যপণ্যের বাজারে চলছে অস্থিরতা। চাল-ডাল-তেলসহ সব ধরনের শাক-সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের।

নগরীর কর্ণফুলী মার্কেট, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, কাজির দেউড়ি, চকবাজার ও ২ নম্বর গেইট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ওলকচু ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ক্ষিরা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

এছাড়া লকডাউন ও রোজার অজুহাতে বাজারে বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। গত শনিবার ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বেগুনের গায়ে এমন আগুন লাগানো দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাজার করতে আসা সাধারণ ক্রেতারা।

বাজার করতে আসা মো. সেকান্দার বলেন, রোজায় বেগুনী ছাড়া ইফতারটা তেমন জমে না। পাশাপাশি সারাদিন রোজা রাখার পর বেগুনের তরকারি বা ভর্তা দিয়ে ভাত খেতেও ভালো লাগে। কিন্তু সবজিটির দাম তো অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে।

কাজির দেউরি বাজারের বিক্রেতা মেহেদি বলেন, প্রতিদিন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে সবজি আসছে। এক সপ্তাহ ধরে পণ্য পরিবহনে প্রভাব ফেলেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভয়াবহ যানজট। তাই নিত্যপণ্যের দাম কমছে না।

এদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০ টাকা বেড়ে হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। নতুন করে দেশি মুরগির দাম না বাড়লেও বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

করোনাকালীন সময়ে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ের তাগিদ ক্রেতাদের।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সরকারের মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের মধ্যে সরকার সরাসরি আমদানির মাধ্যমে বাজারে ছোলা, চিনি, চাল, পেঁয়াজ ও ডাল সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে বাজার ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়তো না। ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর না করে সরকারের সরাসরি পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক বিভাগ অথবা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা উচিত। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে; অথচ তাদের সমন্বয় নেই। তাই পৃথক বিভাগ বা মন্ত্রণালয় দরকার।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ