ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিতর্কিত রাজনীতিক সদ্য পদত্যাগী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান জেরার মুখে পড়েছেন কয়েকটি কারণে। যদিও তিনি সাংবাদিকদের ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রোববার(১২ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫৮৬ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন।তিনি সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
করোনার টিকা কার্ড সাথে নেন নি ডা. মুরাদ হাসান!
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ ছাড়েন তিনি। রাত ৯টার দিকে ডা. মুরাদ হাসান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এমিরেটসের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ছেড়ে যায় রাত ১টার দিকে। দুবাই হয়ে কানাডা যান তিনি।
তিনি কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছালে কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পরে তাকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের বিমানে তুলে দেওয়া হয়। কয়েক শতাধিক কানাডিয়ান নাগরিক কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে ইমেইলে আবেদন করেছেন বলেও তাকে জানানো হয়।
করোনার ডাবল ডোজের টিকার সনদ না থাকায় সদ্য পদত্যাগী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি বলে দেশটির সূত্রে জানা গেছে।
রোববার(১২ডিসেম্বর) বিমান বন্দরের উন্নয়ন বিষয়ে ব্রিফিংকালে টিকার সনদ না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদুল আহসানকে।
জবাবে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল আহসান বিষয়টি দেখার দায়িত্ব তাদের নয়।তিনি বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে যে যাত্রীই বাইরের দেশে যান সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়।
মুরাদ হাসানকে শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও।তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কথা বলেননি।
এরআগেন নিউজ : বিকেলে দেশে ফিরছেন মুরাদ!
বিএনএনিউজ২৪,জিএন