বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: গত ছয় দিনে গাজায় চার হাজার টনের ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আল জাজিরার সর্বশেষ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, গাজার হাসপাতালগুলো বিদ্যুৎহীন মর্গে পরিণত হচ্ছে।
খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের সংকট, তারমধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা উপতক্যয় একের পর এক বোমা ফেলছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এধরনের হামলা চলতে থাকলে, অত্যন্ত ঘনবসতির গাজা উপত্যকায় বিপুল প্রাণহানি হবে, এতে হাসপাতালগুলোর মর্গে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই তেমনটা ঘটতেও শুরু করেছে। পরিস্থিতি নরক গুলজার, হাসপাতালেও বিদ্যুৎ নেই। ফলে লাশ সংরক্ষণে হিমায়িত সুবিধাও অনুপস্থিত। এই অবস্থায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, গাজার হাসপাতালগুলো বিদ্যুৎহীন মর্গে পরিণত হচ্ছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০০ জনে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ বোজুম বলেছেন, জাবালিয়া ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবনে বোমা হামলা হয়েছে। ভবনটি কয়েক ডজন লোকে পরিপূর্ণ ছিল। যাদের মধ্যে কেউ কেউ বিমান হামলার আগেই ভবন থেকে সরে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ তুলছেন এবং গণনা করছেন। যে কারণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
বিএনএ/এমএফ