বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সব বয়সী বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের হৃদয়ে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। এর মধ্যে গতকাল দুর্গতিনাশিনী দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মাধ্যমে মহাসপ্তমী পূজা হয়। যা শেষ হয় দেবী দুর্গার আগমনের পর। মহাসপ্তমীর পর আজ মহাঅষ্টমী।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এবারও হচ্ছে না কুমারী পূজা। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ রাজধানীর কোনো মন্দিরেই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়নি। গত বছরও হয়নি এ পূজা।
মহাঅষ্টমীতে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে সন্ধি পূজা শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ১২টা ৪২ মিনিটে। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
এর আগে মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত সোমবার শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ১৫ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। ঢাকা মহানগরে এবার পূজা হচ্ছে ২৩৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে সূত্রাপুর থানায় সবচেয়ে বেশি ২৫টি মণ্ডপ, কোতোয়ালি থানায় ২১টি, ওয়ারীতে ১৬টি, গেন্ডারিয়ায় ১৪টি, হাজারীবাগে ১৩টি, তুরাগে ১২টি, বাড্ডায় ১০টি, বনানীতে ৯টি, মোহাম্মদপুরে ৯টি, দারুসসালাম ও গাবতলীতে ৮টি, ডেমরায় ৮টি এবং তেজগাঁও থানায় ছয়টি।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ