35 C
আবহাওয়া
১:৩৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » উত্তরপ্রদেশে টার্গেট কি মুসলিমরাই?

উত্তরপ্রদেশে টার্গেট কি মুসলিমরাই?

উত্তরপ্রদেশে টার্গেট কি মুসলিমরাই?

বিএনএ ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় জাভেদ মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বলা হচ্ছে, তিনি ছিলেন গত শুক্রবার এ শহরে জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভের প্রধান পরিকল্পনাকারী। সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তার প্রতিবাদেই ওই বিক্ষোভ ডাকা হয়।

ভারতের উত্তরপ্রদেশে রাজ্যের প্রয়াগরাজ, সাহারানপুর ও কানপুর জেলায় গত কয়েকদিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে এগুলো অবৈধভাবে নির্মিত। কিন্তু স্থানীয়রা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, মুসলিমদের টার্গেট করেই এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , এর আগে শুক্র ও শনিবার সাহারানপুর ও কানপুরেও কয়েকজন মুসলিমের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার দিয়ে। এরও আগে এপ্রিল মাসে দিল্লিতে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের পর বেশ কিছু মুসলিম বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। তারও আগে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অন্তত ৪৫টি মুসলিম বাড়িঘর একইভাবে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই এক টুইট বার্তায় জানায়, প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জাভেদ মোহাম্মদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হবে বলে একটি নোটিশ দেয়। রোববার সকাল ১১টার মধ্যে তাকে বাড়িটি খালি করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মিত। এরপর রোববারই বুলডোজার এসে বাড়িটি ভেঙে দেয়।

এর আগে শনিবার কানপুর শহরে মোহাম্মদ ইশতিয়াক নামে এক ব্যক্তির নতুন তৈরি করা বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়। বলা হয়, তিনি কানপুরের সহিংসতার প্রধান অভিযুক্ত জাফর হায়াত হাশমির ঘনিষ্ঠজন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি বলেন, ‘নিয়মনীতি অনুসরণ করেই ভবনটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এবং ভূমিদস্যুদের অবৈধভাবে নির্মিত বাড়িঘরের বিরুদ্ধে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে তাদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এই অভিযান থামানোর জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করার পরও এক ঘণ্টা সময় ধরে উচ্ছেদ অভিযান চলে।

মে মাসে দিল্লির শাহীনবাগ এলাকায় – যেখানে ২০১৯-২০ সালে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতা হয় – সেখানেও “অবৈধ দখলদারি উচ্ছেদের জন্য” বুলডোজার পাঠানো হয়েছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে বুলডোজার ফিরে যায়।

বিএনএ/ ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ