26.4 C
আবহাওয়া
১:৩২ পূর্বাহ্ণ - মে ১৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বুধবার

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বুধবার

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বুধবার

বিএনএ, চট্টগ্রাম: অবশেষে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী কালীন সরকারের আমলে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন বুধবার (১৪ মে)। রাজনৈতিক নেতাদের কয়েক দশকের রশি টানাটানিতে বাস্তবায়িত না হওয়া এই সেতু চট্টগ্রামবাসীর অন্যতম প্রাণের দাবি।

জানা যায়, সেতুর মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০০ মিটার রেল কাম রোড ব্রিজ নির্মাণ, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ, ২ দমমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ, ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ।

চট্টগ্রাম এবং বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার মধ্যে নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, কালুরঘাট নতুন সেতুর বেশিরভাগ টাকা যোগান দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রকল্পের ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত বছরের ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুদিনের প্রাণের দাবি এই সেতু নির্মাণ।

বর্তমান কালুরঘাট সেতু কর্ণফুলী নদীর উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতে নদী পারাপারের জন্য স্থানটি কালুরঘাট নামে নদী পারাপারে ভূমিকা রেখে আসলেও ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে এ রেল সেতুটি নির্মিত হয়। স্থানীয়ভাবে কালুরঘাট সেতুটি কালুরঘাটের পোল নামে পরিচিত। সেতুটির বয়স বর্তমানে ৯০ বছরেরও বেশি। অনেক বছর আগেই (২০০১ সালে) এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১১ সালেও বুয়েটের একদল গবেষক আরেকবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন।

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের গোড়াপত্তনকারী কর্ণফুলী নদীর মোহনা হতে ৭/৮ মাইল উজানে কালুরঘাট নামক স্থানে এটি তৈরী হয়। যা স্থানিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম শহর হতে দক্ষিণাংশে অবস্থিত।

আরও পড়ুন: প্রথমবার চট্টগ্রাম আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

চট্টগ্রাম জেলা শহর কর্ণফুলী নদীর দ্বারা দ্বিখন্ডিত। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার মূল শহর ও দক্ষিণাংশে সংযুক্ত করে। তিরানব্বই বছরের পুরাতন এ সেতুটি দক্ষিণাংশের একমাত্র সংযোগ মাধ্যম ছিল, এক দশক পূর্বে শাহ আমানত কর্ণফুলী সেতুর উদ্বোধনের পূর্ব পর্যন্ত। তাই একে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারও বলা যায়।

বিএনএনিউজ/ বাবর মুনাফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ