বিএনএ ডেস্ক: অর্থ পাচারে আওয়ামী লীগের লোকরা জড়িত থাকার বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে পরিষ্কার বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সত্য স্বীকার করায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদরের বাসুদেবপুরে ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময় নিহত দুই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি সত্যি কথাটি উচ্চারণ করেছেন, তাঁর দলের লোকেরা যে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, লুট করেছে। এটা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও তাঁদের দলের লোকেরা বাংলাদেশকে লুট করছে। আর লুট করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বলপ্রয়োগের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাননি। তাঁরা জোর করে ভোট আয়োজনের চেষ্টা করায়, কোথাও কোথাও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। সেই প্রতিরোধে অনেকেই শহীদ হন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে চাইলে সরকারের পদত্যাগ চান বিএনপির মহাসচিব। বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কখনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
‘আমরা ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করেছিলাম, এটাই আমাদের ব্যর্থতা। বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই একজন বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করার কারণই হলো, তিনি ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আজ দেশে নিত্যপণ্যের যে মূল্য বৃদ্ধি এখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে ও তাদের প্রটেকশনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ, এখানেও একইভাবে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশে এত বেশি ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, যা মাথাপিছু ৪৭২ ডলারে করে পড়ে গেছে। এখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে। তখন মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে।
বিএনএ/এ আর
