বিএনএ: ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয় পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব নতুন বর্ষবরণ ও বিজু উৎসব। এ উৎসব ঘিরে পাহাড়ে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। প্রাণের ছোঁয়ায় সতেজ যেন পাহাড়ি জনপদ।
ভোরে চাকমা তরুণ তরুণীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু,মাধবীলতা, রঙ্গনসহ নানা রকমের ফুল। তা দিয়েই সৃষ্টিকর্তার পূজা করেন তারা।
চাকমারা তিনদিন বিজু উৎসব পালন করেন। প্রথম দিন ‘ফুল বিজু, দ্বিতীয় দিন মূল বিজু, তৃতীয় দিন গইজ্জা পইজ্জা বিজু। অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন ফুল বিজু, চৈত্র সংক্রান্তির দিন মূল বিজু ও পহেলা বৈশাখের দিন গইজ্জা পইজ্জা।
বর্ষবরণ ও বৈসাবি উপলক্ষে পাহাড় যেন উৎসবমুখর। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও চাংক্রান উৎসব ঘিরে পাহাড়িরা রূপ নিয়েছে মিলনমেলায়। প্রাণের এই উৎসবে রং লেগেছে সব বয়সের মানুষের মনে।
এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন ঘটছে। তাই এই উৎসবকে প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে থেকে জেলা শহর, পাড়া ও গ্রামে নানা আয়োজন শুরু হয়েছে। বাংলার পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে উৎসবে মেতে উঠছেন প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিএনএ/ আনোয়ার হোসেন, খাগড়াছড়ি