বিএনএ, ঢাকা: টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা।
দেশ-বিদেশের শত শত মুসল্লি ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের শুভেচ্ছা এবং ইজতেমার সাফল্য কামনা করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বাণীতে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইজতেমা ইসলামের সুমহান আদর্শ জানা, বুঝা ও আমলের পথ সুগম করবে। ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের সুমহান আদর্শ ও আকীদাকে অনুসরণের পাশাপাশি এর প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ এক মহতী উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ইজতেমা বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র, যা ইসলামী সমাজ, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মহানুভবতার এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন,‘আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথি পরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা ইজতেমায় আগত বিদেশী মেহমানদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।’ ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।
আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। চার দিন বিরতির পর আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে।
আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।