22 C
আবহাওয়া
১:১২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দেশে বিটকয়েন প্রতারক চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার

দেশে বিটকয়েন প্রতারক চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার

দেশে বিটকয়েন প্রতারক চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেফতার

বিএনএ, ঢাকা : দেশের বিট কয়েন প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি)রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর দক্ষিণপাড়ায় একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব জানায়, রায়হান অনলাইনে নিষিদ্ধ মুদ্রা বিট কয়েন ক্রয়-বিক্রয়সহ মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিংয়ের মাস্টারমাইন্ড। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিম কার্ড, নগদ ২৫ ইউএস ডলারসহ নগদ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, একটি কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি চেক বই, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি অডি গাড়ী ক্রয়-বিক্রয়ের সনদপত্র, ৩টি ভ‚য়া চালান বই, ১টি ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান জানিয়েছেন, রায়হান ২০০৬ সালে ব্যক্তিগত আগ্রহে কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১১ সাল থেকে ওয়েব ডেভলোপিং. গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিলেন। ২০২০ সালের জুন থেকে পাকিস্তানি নাগরিক জনৈক সাইদের (২২) সহায়তায় অবৈধ বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারনা করে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২০ সালের জুন থেকে অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসেবে বিভিন্ন দেশের ক্লাইন্টসের সঙ্গে অবৈধ বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারনামূলকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। পাকিস্তান, নাইজেরিয়া এবং রাশিয়ান স্মাগলার, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার ও বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধ পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজসে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা ও জালিয়াতি করছিলেন। ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন ক্রয় করে।

জিজ্ঞসাবাদে রায়হান আরো জানিয়েছেন, তিনি স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশি এবং বিদেশি অনলাইন ব্যাংক হিসাব তদারকি করতেন। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ইউএস ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতারক রায়হান এম আর এইচ সফটওয়্যার ডেভলোপমেন্ট নামক কোম্পানির পরিচয় দিয়ে দেশে বিট কয়েনের মাধ্যমে একাধিক ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। দেশে বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারনা ও জালিয়াতি করে থাকে, যাতে কোনো ধরণের প্রমাণ থাকে না। তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন কোম্পানির ২২টি সিম কার্ড, তার নিজ নামীয় ১৯টি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বাংলাযেদশ পোস্টাল সার্ভিসের চালানপত্র বইগুলো প্রতারনা ও জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করতেন এবং জাল পরিচয়পত্র তিনি নিজেই তৈরি করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ৫ থেকে ৬ মাস আগে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে তেজগাঁও গুলশান লিংক রোডের শোরুম থেকে ওডি গাড়ি কেনেন। গত বছরের জুন থেকে বিভিন্ন দেশের সহযোগীদের সহায়তায় এখ নপর্যন্ত বিট কয়েনের মাধ্যমে প্রতারনা ও জালিয়াতি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/এসকেকে/জেবি

Loading


শিরোনাম বিএনএ