26 C
আবহাওয়া
৫:৩২ পূর্বাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে এক লাখ ৭০ হাজার নারী গর্ভপাত করেন’

‘মুক্তিযুদ্ধের পরে এক লাখ ৭০ হাজার নারী গর্ভপাত করেন’


বিএনএ ডেস্ক :অস্ট্রেলীয়  চিকিৎসক ডা. জিওফ্রে ডেভিস ৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কাজ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘সে সময় ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনি ১০০ নারীর গর্ভপাতে সহায়তা করেন।এক পরিসংখ্যানে জানা যায় যুদ্ধ-পরবর্তীকালে নির্যাতিত এক লাখ ৭০ হাজার নারী গর্ভপাত করেন।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা শুধু নির্বিচারে হত্যাই করেনি,  পাশাপাশি করেছে নারীদের গণধর্ষণ। ধর্ষণের শিকার হওয়া সেই নারীদের মানবিক সহায়তা দিতে গর্ভপাতে এগিয়ে আসে বিদেশি চিকিৎসক দল।

২০০৮ সালের ১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’ পত্রিকায় গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হারবি লিরয় কারমেনকে নিয়ে ‘নিরাপদ গর্ভপাতের ডিভাইস নির্মাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন ধর্ষণের শিকার নারীদের চিত্র।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ধর্ষণের শিকার নারীদের বঞ্চনা ঘোচাতে গর্ভপাত করতে এগিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন চিকিৎসক প্রতিনিধি দল। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সংবাদপত্র দা ব্রায়ান টাইমসে লেখা হয় মার্কিন গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হারবি লিরয় কারমেনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক ও গবেষক দল বাংলাদেশে ওইসব নারীর গর্ভপাত ও চিকিৎসা দিতে যাচ্ছেন।

গর্ভপাতে সহায়তা দিতে আসা অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক ডা. জিওফ্রে ডেভিস ও মার্কিন গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হারবি লিরয় কারমেন এবং মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য মতে, দুই লাখের বেশি নারী যুদ্ধকালীন সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ।

সরকারি হিসাবে আড়াই লাখ ও গবেষকদের হিসাবে চার লাখ ৬০ হাজার নারী একাত্তরে ধর্ষিত হন পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের দ্বারা। একটি ইতালিয়ান মেডিকেল সার্ভেতে ধর্ষণের শিকার নারীর উল্লেখ করা হয় ৪০ হাজার।

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ