বিএনএ, ঢাকা: ভয়াল ১২ নভেম্বর স্মরণে ‘উপকূল দিবস’ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপকূল ফাউন্ডেশন, ঢাবি। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফাউন্ডেশনটির বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী ইউনিট এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
এ সময় উপকূল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূল জীবন ইতিহাসের এক ভয়াবহ কাল রাত। এ দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের ৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও এর কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আজও মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের মোট ১৯টি জেলা ও ১৪৭টি উপজেলা উপকূলের অংশ। এখানে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত বহুমুখী দুর্যোগের সঙ্গে বাস করেন। উপকূলের সংকট, সমস্যা, সম্ভাবনা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার দাবি আদায়ে উপকূলের জন্য একটি বিশেষ দিন অপরিহার্য বিবেচনা করে ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস দাবি করেন।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলে যে ভয়াবহতা হয়েছে, তা এ প্রজন্মের মানুষ জানে না উল্লেখ করে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইতিহাস পরম্পরায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির রাষ্ট্রের সূতিকাগার আর ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ পেরেকও। এ কারণেই ’৫২-এ আমরা পেয়েছি ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ও ‘বিশ্ব উপকূল দিবস’ দাবি প্রতিষ্ঠিত হলে আরও একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব আমরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের সভাপতি মো. হাসনাইন বলেন, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এই ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এ ছাড়া উপকূল ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের সভাপতি মো. হাসনাইন, সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, সাব্বির, শিপলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, উপকূল ফাউন্ডেশন ২০১৫ সাল থেকে উপকূল দিবস দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম