বিএনএ, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু দেখা গেল, যে যায় লঙ্কায়, সে–ই হয় রাবণ। তারা বোধ হয় দীর্ঘদিন অর্থাৎ ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ৭ই নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমরা সমর্থন করেছি, সামনেও করব। কিন্তু আপনারা ১০-২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না।’
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা সারজিস আলমের একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রদের কর্মকাণ্ডে মনে হয় তারাই দেশটা স্বাধীন করেছে, আর কেউ অংশগ্রহণ করেনি।’ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে সারা দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই বিপ্লবে বিএনপিরই ৪২২ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন। এর আগে বহু মানুষ গুম হয়েছে। সর্বশেষ যে আন্দোলন, তাতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল, অংশগ্রহণ ছিল। আমার এলাকা ভোলার লালমোহনে ১০ জন শহীদ হয়েছেন, একজনও ছাত্র নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া এই সমাজ কীভাবে উত্তরণ হবে? কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে পুনর্বাসন করা যাবে? মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদার সামাজিক ন্যায়বিচার। এই সব কথা তো বর্তমান সরকারের কাছে শুনিই না।’
বিএনএনিউজ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ বিএম