30 C
আবহাওয়া
১:৩৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুয়াকাটায় পর্যটন নগরীতে সার্বক্ষণিক বিদুৎ সরবরাহের দাবি

কুয়াকাটায় পর্যটন নগরীতে সার্বক্ষণিক বিদুৎ সরবরাহের দাবি

কুয়াকাটায় পর্যটন নগরীতে সার্বক্ষণিক বিদুৎ সরবরাহের দাবি

বিএনএ,ঢাকা : কুয়াকাটায় পর্যটন নগরীতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারাণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ। এসময় সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কুয়াকাটা সরকার ঘোষিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার নির্মল বাতাস, প্রকৃতির নৈস্বর্গ, সাগরের বিশাল জলরাশি তার অপার সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের কাছে টানে। পর্যটন নগরী কুয়াকাটা শুধু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নয় বরং এটি সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনা। যার কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে কুয়াকাটাকে পর্যটন নগরী হিসেবে ঘোষণা করেন। শুধু ঘোষণা দিয়েই তিনি কাজ শেষ করেননি, কুয়াকাটাকে সাজানোর জন্য নিয়েছেন একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা। কুয়াকাটার সঙ্গে সংযুক্ত সব রাস্তাঘাট তিনি সুন্দরভাবে তৈরি করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬টি (ছয়) ব্রিজে যানবাহন চলাচল করছে। একটি ব্রিজের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে এবং পদ্মাসেতু চালু হলে ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টায় পর্যটকরা কুয়াকাটায় পৌঁছাতে পারবে। পর্যটন নগরী কুয়াকাটার যুগোপযোগী মাস্টার প্লান প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অনুমোদন দিয়েছেন। যা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বাস্তবতা হচ্ছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ও কয়েক হাজার পর্যটনবান্ধব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে সরকার ঘোষিত শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল থেকে এই এলাকা বঞ্চিত। এমন কোনদিন নেই যে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট না হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। যেটুকু থাকে তারও ভোল্টেজ খুবই কম। ফলে হোটেল মোটেলসহ সব প্রতিষ্ঠানের এসি, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রতিনিয়ত বিকল হচ্ছে। যার ফলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা গরমে অতিষ্ট হয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে, তারা তিন দিনের স্থলে একদিন অবস্থান করেই ফিরে যাচ্ছে। নিকটস্থ বিদুৎ অফিসে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

বৃহস্পতি, শুক্রবার পর্যটক যখন বেশি থাকে তখনই বিদ্যুৎ সংকট কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়। তাই পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা শহরের মতো পল্লী বিদ্যুতের পরিবর্তে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও আলাদা সাব-স্টেশনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।

বিএনএনিউজ২৪.কম/শহীদুল,আমিন

Loading


শিরোনাম বিএনএ