বিএনএ ঢাকা: দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে সবার ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) নতুন পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষও এর সুবিধা পাচ্ছে। এতে নগর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়েছে। গ্রামের সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোই সরকারের লক্ষ্য। বর্তমানে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে পরিবেশের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হয় বলে জানান তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। এ খাতে অনেক ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করেন তাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলছে না। এমন কেউ যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে যারা দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দেয়। করোনা ভাইরাসের কারণে উন্নয়ন কাজের যথেষ্ট ক্ষতি হলেও বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলছে না বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য করোনার প্রতিষেধক টিকা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য যত টাকা লাগে, ব্যয় করা হবে। টিকা দিলেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। সেজন্য সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
পরে মোট ৭শ’৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন হওয়া পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো- চট্টগ্রামে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, হাবিবগঞ্জের বিবিয়ানা-৩ এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্পাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেঘনা ঘাট ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঘারহাটের মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২২৫ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উন্নীতকরণ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সরকার ১১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। যেগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট।
বিএনএনিউজ/আরকেসি