16 C
আবহাওয়া
১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্রটা যেন মাথায় থাকে!

৫ আগস্টের গণভবনের চিত্রটা যেন মাথায় থাকে!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বিক্ষোভ

ঢাবি : ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “আজকে উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ‘খুনিদেরকে’ পুনর্বাসন করার বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনি উপদেষ্টা হয়েছেন। সুতরাং যখন কোনো বক্তব্য দেবেন, আপনার সামনে যেন ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্রটা মাথায় থাকে।

“যারা স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চায়, ‘খুনি’ হাসিনাকে পুনর্বাসনের মত বক্তব্য দিতে চায়, আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাদেরকে উপদেষ্টা বানিয়েছি, ঠিক একইভাবে গদি থেকে ছুড়ে নামাতে দ্বিধা করব না।”

সোমবার(১২ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ উপদেষ্টা কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, “যারা খুনিদেরকে পুনর্বাসন করার জন্য ব্যাকস্টেজে ম্যাকানিজম করছেন, আপনাদের এই প্লটিংয়ের আমরা বিষদাঁত ভেঙে দেব। আমরা সচেতন করে দিতে চাই, উপদেষ্টারা আপনারা সচেতন হয়ে যান। আপনাদেরকে ছাত্র জনতা প্রতিহত করবে। সুতরাং খুনিদেরকে পুনর্বাসন করার কোন ধরনের চিন্তা আপনারা করবেন না।

“রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই, রক্তের গন্ধ এখনো যায় নাই, মেডিকেলে আহতরা কাতরাচ্ছে। সুতরাং আপনাদের স্পর্ধা হয় কীভাবে ছাত্র জনতাকে অস্বীকার করে খুনিদেরকে পুনর্বাসন করার?”

ক্যাম্পাসে ‘দখলদারত্বের রাজনীতি’ বন্ধের দাবি জানিয়ে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ  বলেন, “ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের চলে আসা ‘দখলদারত্বের যে রাজনীতি’, ‘হল দখলের যে রাজনীতি’, গেস্টরুমের যে রাজনীতি, ‘স্বৈরাচারদের সহযোগী’ হিসেবে থাকার যে রাজনীতি, সে রাজনীতি ক্যাম্পাসে আর কোনোদিন পুনর্বাসন হবে না।”

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ,মধুর ক্যান্টিন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে৷

প্রসঙ্গত: সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের শীর্ষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। সে দলে প্রচুর ভালো ভালো নেতা আছে, আমি এখনই নাম বলতে পারি। এ দলটা একসময় বাঙালিদের সেক্যুলারপন্থি দল ছিল। বাঙালি আপার ক্লাস মুসলিম লীগে ছিল, আর মিডল ক্লাসের দল ছিল আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, “এতবড় মানুষের দল, যিনি এদেশ স্বাধীন করেছিলেন, এতে তো কোনো সন্দেহ নাই। কারো সন্দেহ থাকার কথা না। উনি (বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান) স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন, উনার নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা হয়েছে। সে দল এরকমভাবে ভেঙে পড়ে যাবে! যে দলের লোক এখন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি উনাদেরকেও কথা দিচ্ছি। আপনারাও দল গুছিয়ে নেন। আপনাদের দলকে কেউ তো নিষিদ্ধ করেনি।”

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দলের মতো চলবে। আপনি একে দিয়ে তাকে দিয়ে গণ্ডগোল করাবেন, আমি আসতেছি-আমি যাব। আপনি আসবেন, এটা আপনার দেশ, আসেন না কেন? কে আপনাকে বাধা দিচ্ছে? নাগরিকত্ব তো কারও যায়নি। ২১ বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, আপনাকে তো কেউ যেতে বলে নাই। আপনি স্বেচ্ছায় গেছেন, ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। গণ্ডগোল পাকানোর কোনো মানে হয় না। গণ্ডগোল পাকিয়ে কোনো লাভ হবে না, বরং লোকজন আরও ক্ষেপে উঠবে।

বিএনএ, এসজিএন/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ