বিএনএ, ঢাকা: জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ১৫ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসাইন জানান, এ দিন কারাগার থেকে জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তবে এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন তারা মা আয়েশা।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর অভিযোগের তদন্ত শেষে জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হয়।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, জি কে শামীম ২০১৮-১৯ কর বর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এ ছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক। অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে না পাওয়া মামলাটি করে দুদক।
উল্লেখ্য, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। তিন মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিন মামলার রিমান্ড শেষে কারাগারে তিনি।
বিএনএ/এমএফ