বিএনএ, রাবি : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন সাবেক শিক্ষার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগেরই রয়েছেন ৬ জন সাবেক শিক্ষার্থী।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন সাবেক শিক্ষার্থীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া রাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন:
১. শামসুল হক টুকু (পাবনা-১)
২. শফিকুর রহমান বাদশা (রাজশাহী-২)
৩. আব্দুল ওয়াদুদ দারা (রাজশাহী-৫)
৪. নারায়ন চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫)
৫. বীর বাহাদুর উশৈ সিং (বান্দরবান)
৬. অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী-৪)
৭. বীরেন শিকদার (মাগুরা-২)
৮. আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২)
৯. শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১)
১০. ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১)
১১. আব্দুল হাই (ঝিনাইদহ-১)
১২. সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাাঁ-৩)
১৩. অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ (নাটোর-১)
১৪. তাহমিনা বেগম (মাদারীপুর-৩)
১৫. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২)
১৬. অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ (গাইবান্ধা-৪)
১৭. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫)
১৮. এনামুল হক বাবুল (যশোর-৪)
এদের মধ্যে শফিকুর রহমান বাদশা (রাজশাহী-২), বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি (বান্দরবান), সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ (নাটোর-১), তাহমিনা বেগম (মাদারীপুর-৩), এবং নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা এ প্রসঙ্গে বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি বিশেষ পাওয়া। এখনও পর্যন্ত যে ১৮ জন সাবেক শিক্ষার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করবে—যে এখানে শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি—প্রত্যেকটি বিষয়ই এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির যে ক্রম ধারাবাহিকতা, সেটির একটি উল্লেখযোগ্য বহিঃপ্রকাশ এটির মাধ্যমে ঘটেছে বলে আমি মনে করি।”
এদিকে, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “এই ১৮ জন সংসদ সদস্য এখন শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব না, তারা এখন পুরো জাতির গর্ব। তাদের যোগ্য ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব,ওজি