বিএনএ ডেস্ক : মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এক গণজমায়েতের আয়োজন করে।
এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেলে না নিয়ে কারা ভারতে যেতে দিয়েছেন? সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারতে যেতে কারা সেইফ এক্সিট দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন। ভারতের প্রেসক্রিপশনে সব কাজ করতেন। ক্ষমতার লোভে অনেক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেওয়ার আলাপ তুলেছেন, তাদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মন্ত্রীত্ব ও সংসদে যাওয়ার লোভে, রাস্তায় আহতদের পিচ্ছিল রক্তের ওপর দিয়ে সংসদে গেলে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। আগে আসবে তাদের বিচার নিশ্চিতের প্রশ্ন। আর যদি বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে আহত যোদ্ধারা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা মামলায় আলেমদের যখন কোর্টে তোলা হতো তখন নির্যাতন করে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তোলা হতো। কিন্তু এখন দেখছি, খুনের আসামি আওয়ামী লীগ নেতাদের যেভাবে কোর্টে তোলা হচ্ছে, মনে হয় শশুর বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জেলখানাতে নাকি তাদের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সর্ম্পকের বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নতজানু কুটনৈতিক সর্ম্পক নয়- তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে চোখে চোখ রেখে।
‘মায়ের ডাকের’ এই সমাবেশে বক্তব্য দেন, মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
সামনে বিপদ আছে উল্লেখ করে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার যতদিন নিশ্চিত না করা হচ্ছে, ততদিন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে না।
বিএন এ নিউজ,শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচমুন্নী