লাইফস্টাইল ডেস্ক: বাঙালি রান্নায় তিলের ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না। তবে শীতের সময় যখন নানারকম পিঠা-পুলি বানানো হয় তখন এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। কেউ বানান তিলের নাড়ু, কেউবা বরফি। তবে শীতকালে কি তিল খাওয়া উচিত?
এটি কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না ক্ষতিকর? চলুন জানা যায় বিশেষজ্ঞরা কী বলেন-
পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের মরসুমে ডায়েটে নিয়মিত তিল রাখা উচিত। এটি কেবল খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয়। তিলের নানা স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। তিলের কিছু উপকারিতা চলুন জানা যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তিলে আছে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। এই উপদানদুটো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দারুণ উপকারী। শীতে তিল খেলে শরীরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।
ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারি
তিলে রয়েছে ভালো মাত্রায় ফাইবার। তাই তিল খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিকদের জন্যেও এই তিল বেশ উপকারী তিল। যেকোনো সংক্রমণে ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। শীতকালে ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খাদ্যতালিকায় তিলের তৈরি খাবার রাখতে পারেন।
ত্বক ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক তাদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। এই মরসুমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও খেতে পারেন তিল। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল কমায়
কোলেস্টেরল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? খেতে পারেন তিল। এতে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিল খান।
হজমে সহায়ক
শীতকালে খাওয়াদাওয়া বেশি হয়। ফলে পেটের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু তিল হজমে সাহায্য করে। তাই শীতকালে সালাদে কিংবা তরকারিতে খানিকটা তিল রাখতেই পারেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ