বিএনএ ডেস্ক: আবহমান বাংলার চিরকালীন সম্প্রীতির এক বহমান ধারা শারদীয় দুর্গোৎসব। সোমবার (১১ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালমন্বীদের ৫ দিনব্যাপী প্রধান ধর্মীয় উৎসবের শুরু হয়েছে।
দিনের প্রথম ভাগে মন্ত্রপাঠ, শাঁখ, উলুধ্বনী আর শাস্ত্রীয় বিধান মেনে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠীপূজা। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের বেলতলায় উপবাস রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে পূজায় অংশ নেন ভক্তরা। পরে অঞ্জলীদানের মাধ্যমে পূর্ণ হয় ষষ্ঠীপূজা। ফুল, ফল, ধান দূর্বা, তুলসি, দ্বীপ প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন ১৬ ধরণের উপাচার দিয়ে পূজিত হন দেবী দূর্গা। সেইসঙ্গে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে বন্দনা দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার। শাস্ত্রমতে, এই পূজার মাধ্যমে ঘুমন্ত দেবীকে জাগ্রত করা হয়।
পুরাণ মতে, প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন রাজা সুরথ। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে পূজার আয়োজন করেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।
করোনা মহামারির কারণে এবারও উৎসবকে সীমিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তিথি অনুযায়ী এবছর পঞ্চমী ও ষষ্ঠী একই দিনে হয়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় দেবী আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
এদিকে,দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনে মণ্ডপগুলোতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরাধনা করছেন ভক্তরা।
এবার সারা দেশে প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর দোলায় চড়ে দেবী দুর্গার বিদায়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই শারোদ উৎসব।
বিএনএনিউজ/আরকেসি