29 C
আবহাওয়া
৭:০৮ পূর্বাহ্ণ - মে ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ১৪ মানব পাচারকারী সক্রিয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ১৪ মানব পাচারকারী সক্রিয়

রোহিঙ্গা

বিএনএ, কক্সবাজার : মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ট্রলারে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তারা বেছে নিয়েছেন গভীর রাত। মাঝে মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তাদের এই যাত্রায় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে দেখা যাচ্ছে মাঝ সাগরে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তাদের একাধিকবার উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

শুধু তাই নয়, পুলিশ, এপিবিএন, র‍্যাব ও বিজিবি ও শত শত রোহিঙ্গাকে মরণ যাত্রা সাগর পথে মালেশিয়া যাবার সময় উদ্ধার করে ক্যাম্পে ফেরত পাটিয়েছে।গত তিন মাসে এক হাজার ২০০ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুকে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠানো হলে ও সাগর পথে মালেশিয়া যেতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মরিয়া বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)।

রোহিঙ্গাদের এমন যাত্রাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হলেও দালাল চক্রের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এই চক্রের সদস্যরা একসময় ইয়াবাকারবারি হিসাবে পরিচিত ছিল। তারাই এখন স্থানীয় চক্রের সহায়তায় ট্রলার কিনে সাগর পথে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে মানবপাচার করছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে এক সরকারি সফরকালে মানবপাচারের দালাল চক্র ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান। একইসঙ্গে বিভিন্ন এজেন্সির দেওয়া তালিকা সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে ১৩ থেকে ১৫টি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। প্রত্যেক চক্রে ১৫ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে যারা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যেতে চায়-তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার করে টাকা নেয়। ওই টাকার বড় অংশ স্থানীয় চক্রকে দেয়। কিছু টাকা দিয়ে ট্রলার কেনে। এরপর সবকিছু ঠিক করে মাথাপিছু আরও ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর ট্রলারে কিছু শুকনা খাবার তুলে দিয়ে পাড়ি দেয় সাগর পথে।

সূত্র মতে, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ মানব পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হলেও পাচারকারী চক্রের বিস্তৃতি রয়েছে মহেশখালী পর্যন্ত। মহেশখালীতে পাচারকারী চক্রের প্রধান ‘ঘাঁটি’ হচ্ছে কুতুবজোম ইউনিয়ন। উখিয়ার সোনারপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় ২০ জনের বেশি এবং টেকনাফে রয়েছে অর্ধশত পাচারকারী। এসব পাচারকারীদের সমন্বয়ে পৃথকভাবে রয়েছে ১০টির বেশি চক্র।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল দিয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কাজে জড়িত অন্তত ৫০০ দালালকে তারা চিহ্নিত করেছে। মূলত রোহিঙ্গাদের ঘিরেই এই চক্রটি বেশি সক্রিয়। রোহিঙ্গাদের মাদক বিক্রির টাকাই মূলত দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ও রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কাজ চলমান রয়েছে। গত তিন মাসে ৫৭ জন বানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা।

বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ