30 C
আবহাওয়া
৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ডিমের সঙ্গে পেঁয়াজের লাফ, ক্রেতার কপালে ভাঁজ

ডিমের সঙ্গে পেঁয়াজের লাফ, ক্রেতার কপালে ভাঁজ

ডিম

বিএনএ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোতে ডিমের দাম দুই সপ্তাহ ধরে লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ডিম এখন ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে প্রথমবারের মতো ডিমের ডজন ১৬০ টাকায় ওঠে। খামারি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে একযোগে দাম বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এই নিত্যপণ্যের হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতার কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেছে।  একই সঙ্গে সবজি ও মাছের দাম আগেই ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে বলে জানান ক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বাজারে এখন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বিক্রি হয় প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায়।

দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি করা হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ-মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে ডিমের ওপর চাপ বেড়েছে। এতে চাহিদাও খুব বেড়ে গেছে। এর মধ্যে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ডিম সংগ্রহ ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ জন্য দাম বাড়ছে।

রাজধানীর রামপুরার মুদি দোকানী রহমত উল্লাহ বলেন, খুচরায় প্রতি ডজন ডিম এখন ১৬৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কেউ হালি কিনলে অন্তত ৫৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে কয়েক দফায় বেড়েছে ডিমের দাম। এতে ডিমের বিক্রিও অনেকটা কমে গেছে। যারা আগে এক ডজন করে কিনত, তারা এখন এক হালি করে নিচ্ছে। কেউ কেউ দু-একটা ডিমও কিনতে আসছে। প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সোনালী স্টোরের মালিক গোলাম ফারুক বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণে এখন আমাদেরই প্রতি পিস ডিম পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে প্রায় ১৩ টাকা ৫০ পয়সা করে। ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লাভ হয় না তেমন। ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে কিছু লাভ না করলে তো দোকান চালানো যাবে না।’ দাম বাড়ায় বিক্রিও কমে গেছে বলে তিনি জানান।

বাড্ডার কাঁচাবাজারে ক্রেতা নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে দুই ডজন ডিম কিনেছি ২৯০ টাকায়। এখন ব্যবসায়ীরা চায় ৩৩০ টাকা। কয়েক দোকান ঘুরলাম, কেউ এর নিচে দিচ্ছে না। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ডিমের দামও বেড়ে গেল। গরিবদের দেখার কেউ নেই। বাজার তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ