ছাগলনাইয়া(ফেনী) : বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানী প্রতিরোধে এক সচেতনতামূলক সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডা. জাহানারা আরজু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ সব বিষয়ে অধিক সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানী একটি নারীর জীবনকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিতে পারে। সরকারের বিভিন্ন হেল্প লাইন, প্রশাসনের আন্তরিকতায় দেশে বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানী অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। যৌতুক বন্ধে শিক্ষিত সমাজ ও পারিবারিক সচেতনতা জরুরি।
ছাগলনাইয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক মৌলভী সামছুক করিম কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার।
মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের তাৎক্ষণিক সহায়তায় জয় মোবাইল অ্যাপস, দেশব্যাপি সরকারি হাসপাতাল সমূহে সরকার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল চালু করেছে।যেখানে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। তাছাড়া প্রশাসন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ এর মাধ্যমে যৌন হয়রানী প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে তাতক্ষণিক দ্রুত ব্যবস্থা নেন। সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের মাধ্যমে নির্যাতিতা, দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাদের আইনগত পরামর্শ প্রদান করছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মিজান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নারী ও শিশু বান্ধব। এদেশে নারী ও শিশুদের কল্যাণে আলাদা একটি মন্ত্রাণালয় রয়েছে। অল্প বয়সে কাউকে জোর করে, হুমকি দিয়ে কিংবা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয়াটা আইনত শুদ্ধ নয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম কমলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোমেনা বেগমের সঞ্চালনায় এতে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম মোস্তফা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জোলেখা শিল্পী, কলেজ অধ্যক্ষ মো: আবুল বাসার ও সাংবাদিক এবিএম নিজাম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
বিএনএ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন, এসজিএন/হাসনা