বিএনএ,চট্টগ্রাম: সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপি চলমান কঠোর লকডাউনে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে দোকান, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মল খোলা রাখায় ৭৬ মামলায় ৩০ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রোববার (১১ জুলাই) নগরীর ডবলমুরিং, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, পতেঙ্গা, বন্দর, ইপিজেড, চকবাজার, খুলশী, বায়েজিদ, কোতোয়ালি, সদরঘাট, পাহাড়তলি, আকবরশাহ, হালিশহর, মুরাদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী ডবলমুরিং এলাকায় ৮ টি মামলায় মোট ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী। তিনি ৮ টি মামলায় ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পতেঙ্গা, বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত। এ সময় তিনি ৪ টি মামলায় ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। এ সময় ৮ টি মামলায় ৪ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ১ টি মামলায় মোট ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮ টি মামলায় ২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ২ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন।
অন্যদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন পাহাড়তলি ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন। তিনি ৬ টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি হালিশহর ও মুরাদপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস। তিনি ১ টি মামলা দায়ের করে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এ সময় তিনি ৬ টি মামলায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এছাড়া পাহাড়তলি ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলায় মোট ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ। কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি ৪ টি মামলায় ২ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে নগরের বিভিন্ন স্থান নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএনএনিউজ/মনির