30.3 C
আবহাওয়া
৭:২৭ অপরাহ্ণ - মে ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

আবাসন খাত

বিএনএ, রিপোর্ট: আগামী দশ বছরের জন্য বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে আবাসনখাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন-কে তহবিল প্রদানের মাধ্যমে আবাসন খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো এবং আবাসন শিল্প রক্ষার্থে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হ্রাস, ফ্ল্যাট-প্লট নিবন্ধন ফি ও কর কমানো এবং এবং নতুন মূসক আরোপ না করাসহ এক গুচ্ছ প্রস্তাব করা হয়েছে।

রবিবার(১১ ফেব্রুয়ারি)  রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট সামনে রেখে প্রাক বাজেট আলোচনাকালে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব করা হয়।

আলোচনাকালে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। এসময় এনবিআর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর আয়োজিত এ বৈঠকে রিহ্যাব এর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন রিহ্যাবের প্রসাশক জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় রিহ্যাব নেতা বলেন, “ফ্ল্যাট এবং জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে ১৪-১৬% অতিমাত্রার নিবন্ধন ব্যয় বিদ্যমান। একই সাথে পুরাতন ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে পুনরায় নতুন ফ্ল্যাটের সমান নিবন্ধন ব্যয় করতে হয় যা অযৌক্তিক। নিবন্ধন ব্যয় কমিয়ে আনা এখন সময়ের দাবী।

এছাড়া নামমাত্র নিবন্ধণ ব্যয় নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন করা প্রয়োজন।” গৃহায়ণশিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস এবং অর্থ পাচার রোধে কোন শর্ত ছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।

আলোচনা সভায় রিহ্যাব থেকে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ চেয়ে আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৯বিবিবিবিবি এর যুগোপযোগী সংশোধনের সুপারিশ করে।

“সেকেন্ড হোম” গ্রহণের সুযোগ থাকায়

প্রস্তাবে বলা হয়,“বর্তমানে বিভিন্ন দেশে “সেকেন্ড হোম” গ্রহণের সুযোগ থাকায় দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এসব দেশে ফ্ল্যাট বা এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের অর্থের উৎস বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না।”

রিহ্যাব নেতা বলেন,“অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়া হলে ভবিষ্যতে ঐ সকল বিনিয়োগকারী ট্যাক্স-নেটের আওতায় আসবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। দেশে ফ্ল্যাট বা এ্যাপার্টমেন্ট কেনার পর সংশ্লিষ্টদের কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে আয়ের উৎস জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানোর কারণে আবাসনে বিনিয়োগে বৈরী পরিবেশ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনুসন্ধান যৌক্তিক পর্যায়ে আনা প্রয়োজন।”

নিবন্ধন ব্যয় কমানো প্রয়োজন

রিহ্যাবের প্রস্তাবে ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধধন ফি ও কর কমানোর দাবী জানিয়ে বলা হয়, বর্তমানে ব্যয় বেশি হওয়ায় ফ্ল্যাট বা প্লটের ক্রেতারা নিবন্ধনে উৎসাহিত হচ্ছে না। ফলে সরকার এই খাত থেকে রাজস্ব আয় কম পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অবিলম্বে নিবন্ধন ব্যয় কমানো প্রয়োজন।

রিহ্যাবের প্রস্তাবে আরো বলা হয়, অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিবন্ধন ব্যয় তুলনামূলক বেশি এবং সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের নিবন্ধন ব্যয় ৪-৭শতাংশ এর বেশি না।

অন্যথায় দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব

নির্মাণ ব্যয় হ্রাস ও আনুষাঙ্গিঁক ব্যয় কমাতে নির্দিষ্ট মূসক হ্রাস করার প্রস্তাব জানিয়ে রিহ্যাব থেকে বলা হয়, এ জাতীয় ব্যয় হ্রাস করা হলে স্বল্প মূল্যে ক্রেতা সাধারণকে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে আবাসন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, এই শিল্প স্থবিরতা থেকে মুক্তি পাবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যথায় দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।

যে কারণে ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছে

গৃহায়ণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস সংক্রান্ত প্রস্তাবে রিহ্যাব থেকে বলা হয়ছে,“গৃহায়ন শিল্পের বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা এই খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। অধিকাংশ ডেভেলপাররা অতি উচ্চসুদে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে তাদের পক্ষে ব্যাংক ঋণ ও সুদ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আয়করের উচ্চ হারের কারণে ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছে। এ বিষয়গুলিও সরকারের বিবেচনা করা প্রয়োজন।”

এসজিএন/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ